বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করব।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী আর কারাবন্দি রয়েছেন তাদেরকে মুক্ত করতে হবে। এই সরকারকে বিদায় করে আমরা তাদেরকে মুক্ত করতে চাই।
আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে গত দশ বছরে প্রায় দশ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে। আমরা মনে করি আন্ডার ইনভয়েস-ওভার ইনভয়েস করে এই টাকা আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা বিদেশে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, আজকে ব্যাংকে ভোক্তা পর্যায়ে সুদের হার বৃদ্ধি করে তারা(সরকার) আইএমএফকে খুশি করতে চায়। কিন্তু আইএমএফ বলেছে তারা খুশি নয়, তারা আরও সংস্কার দেখতে চায়। তার অর্থ হচ্ছে আজকে আইএমএফ-ও বুঝতে পেরেছে যে এই বাংলাদেশের টাকা বিদেশে চলে গেছে। যার জন্য আজকে ডলারের সংকট, ব্যাংকগুলোতে তারল্যের সংকট। সরকার কোনো রকমে আর ধামাচাপা দিতে পারছে না।
আগামী ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী, গণ বিরোধী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সরকারের সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার সহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশের ঘোষণা দেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না, বিদ্যুতের কমিশনকে তোয়াক্কা না করে দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, বিএনপির সরকারের সময় বিদ্যুৎতের ইউনিট ছিলো ২ টাকা ৬০ পয়সা, আর এখন ১১ টাকা দিতে হয় এক ইউনিটে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চলনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেন প্রিন্স, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, তাবিথ আউয়াল, যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম মতিন, মহানগর সদস্য চেয়ারম্যান জুম্মন মিয়া, মোঃ ফরহাদ হোসেন, মোঃ চান মিয়া, রফিক মোল্লা, এম এস আহমাদ আলী, এ্যাড. সারোয়ার হোসেন সাকিফ, জিয়া মঞ্চ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ইকবালসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সময়বিডিটোয়েন্টিফোর.কম/সুজন খান