আজ শনিবার পৌষসংক্রান্তি- অর্থাৎ পৌষ মাসের শেষদিন। এবার পুরান ঢাকার পুরোটা জুড়েই উদযাপন হচ্ছে সাকরাইন উৎসব। উৎসবে মেতে উঠেছে পুরান ঢাকাবাসী। বিকেলে পুরান ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানোর মধ্য দিয়ে দিনটির উদযাপন শুরু হয়েছে। সাকরাইনে নানা আয়োজন থাকলেও ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতাই ঐতিহ্যবাহী।
দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বিভিন্ন আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠে পুরান ঢাকাবাসী। সন্ধ্যা নেমে এলে থাকে আতশবাজি ডিজে গানের আয়োজনসহ নানান কিছু। এদিন পুরান ঢাকার সবাই ছাদে উঠে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসবে মেতে ওঠে।
শনিবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলি ঘুরে সাকরাইন উৎসবের এসব চিত্র দেখা যায়।
সাকরাইন উপলক্ষে সকাল থেকেই সাজ সাজ রব সৃষ্টি হয়েছে অলিগলিতে। পুরান ঢাকার প্রতিটি বাসা বাড়ির ছাদ সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। চারদিকে উচ্চ স্বরে বাজানো হচ্ছে গান বাজনা। ফুটানো হচ্ছে আতশবাজি। প্রতিবারের ন্যায় এবারে ছিল আগুনের খেলা। সেই সঙ্গে রয়েছে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের সাথে ডিজে পার্টির আয়োজন। পরিবারের সকল সদস্য নতুন পোশাক পরিধান করে উদযাপন করছে সাকরাইন উৎসব। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠা বানানোর ধুম। ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই মেতেছেন সাকরাইন উৎসবে। সবার চোখেমুখেই যেন উৎসবের ছোঁয়া।
এদিকে পুরান ঢাকার অলিগলি রূপ নিয়েছে উৎসবের আমেজে। নানান বয়সের যুবক -যুবতী সেজেগুজে বাহারি অলংকার পরিধান করে সহপাঠীদের নিয়ে যাচ্ছে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। অনেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন নিজেদের মতো সময় কাটানোর জন্য।
শাখারীবাজার এলাকার একদল যুবক বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়াই, রাতে তো আর ঘুড়ি ওড়ানো যায় না। এরপর বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আতশবাজি আর নাচ-গানই চলে বেশি। দিনের আয়োজনের চেয়ে রাতের আতশবাজি, ডিজে পার্টির নাচ-গান আর রং মাখামাখিতেই তারা বেশি আনন্দ ভোগ করেন বলে জানান।
সাকরইন উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, কপি-শপসহ জনপ্রিয় স্থানগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
সময়বিডি২৪.কম/শুব্রা রায়