চার সপ্তাহে ইরানের চলমান আন্দোলন। নীতি পুলিশের নির্যাতনে মাহসা আমিনি নামের এক কুর্দি তরুণীর মৃত্যুর পর ইরান জুড়েই এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এখন গোটা ইরানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।
ইরানে ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না করার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশি হেফাজতে মারা যায় মাহসা আমিনি।
কুর্দি নারী মাহসাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করে। ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়ে মাহসা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরপর তিনি কোমায় চলে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ইরানজুড়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
তার পরিবার ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন শুরু থেকেই দাবি করছে, গ্রেপ্তারের সময় মাহসার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাত করে পুলিশ। এ কারণেই পরে তিনি চেতনা হারিয়ে কোমায় চলে যান।
তবে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মাহসার মৃত্যুর কারণ ‘অসুস্থতাজনিত’।
তবে তেহরানের এই কথা বিশ্বাস করছে না আন্দোলনকারীরা। কুর্দিরা এই আন্দোলকে নিজেদের মুক্তির আন্দোলন হিসেবে নিয়েছেন।
ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় স্লোগান উঠেছেন, ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা।’ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দি নেতা প্রথমবার এই স্লোগান তুলেছিলেন। নিজেদের মুক্তি আন্দোলনে এবার সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করছে ইরানের কুর্দিরা।
সময়বিডিটোয়েন্টিফোর.কম/শেখ রাসেল